গোর্কী । লেনিন । রবীন্দ্রনাথ । বঙ্কিমচন্দ্র । অন্যান্য ভারতীয় মানীষী । অন্যান্য বিদেশী মনীষী
ভ. ই. লেনিন
·
“মানুষের
ইতিহাস-সৃষ্টির তৎপরতা যত ব্যাপকতর ও গভীরতর হতে থাকে, ইতিহাসের সচেতন স্রষ্টা যে
জনসাধারণ— তার সংখ্যাও ততই
বৃদ্ধি পেতে বাধ্য।”
·
“জনসংখ্যার
নিম্নতম অংশকেও উন্নীত কর, যাতে তারা ইতিহাস রচনা করতে পারে সেই স্তরে।”
·
“...
জনসাধারণকে বই পড়ার অভ্যাস আয়ত্ত করার মতো শিক্ষিত করে তোলা ভিন্ন ... আমরা
লক্ষ্যসিদ্ধি করতে পারবো না।”
·
“...
নিছক অক্ষরজ্ঞান আমাদের খুব বেশিদূর নিয়ে যেতে পারবে না ... লেখাপড়ার ক্ষমতাকে
সাংস্কৃতিক মানোন্নয়নের কাজে লাগাতে হবে।”
·
“...
সমগ্র কৃষক সমাজকে সমবায় সমিতির মধ্যে সংগঠিত করার পূর্বশর্ত হলো কৃষকদের মধ্যে
(বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ হিসেবে, সুনির্দিষ্টভাবে কৃষকদের মধ্যেই) সংস্কৃতির এমন
এক মান অর্জন করা— যে-সাংস্কৃতিক মানকে
সংস্কৃতি- বিপ্লব ছাড়া সফল করে তোলা যেতে পারে না।” (সংস্কৃতি-বিপ্লব)
·
“...
এই নতুন বিপ্লবের সূচনা আরো কঠিন, আরো প্রত্যক্ষ, আরো মূলগত ও আরো চূড়ান্ত কারণ এর
অর্থ আমাদের নিজস্ব রক্ষণশীলতা, শৃংখলাহীনতা, পেতিবুর্জোয়া আত্মাভিমানের উপরে
জয়লাভ, অভিশপ্ত ধনতন্ত্র শ্রমিক ও কৃষকদের কাছে উত্তরাধিকার হিসেবে যে-অভ্যাসগুলি
রেখে গেছে তার উপর জয়লাভ।” (সংস্কৃতি-বিপ্লব)
·
“সংস্কৃতি
যতই ধ্বংস হোক না কেন, ইতিহাস থেকে তা মুছে যায় না; তার পুনপ্রতিষ্ঠা দুরূহ
ব্যাপার, কিন্তু কোনো ধ্বংসের ফলেই সেই সংস্কৃতি সম্পূর্ণ অপসারিত হয় না। তার কিছু
অংশ, সেই সংস্কৃতির কিছু বৈষয়িক অবশেষ থেকে যায় অক্ষয় হয়ে। কঠিন শুধু তার
পুনরুজ্জীবন।”
·
“মানবতার
সমগ্র বিকাশের ফলে উদ্ভূত সংস্কৃতি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান ও তার রূপান্তরই কেবল
আমাদের সর্বহারা সংস্কৃতি সৃষ্টি করার ক্ষমতা দেবে।”
·
“ধনতান্ত্রিক
সমাজ, ভূস্বামী-প্রধান সমাজ, আমলাতান্ত্রিক সমাজ— এই সবের জোয়ালের নিচে থাকাকালীন মানবজাতি
যে-জ্ঞানভাণ্ডার আহরণ করেছে, সর্বহারা সংস্কৃতি তারই স্বাভাবিক বিকাশ।”
·
“ঐতিহ্যকে
রক্ষা করার অর্থ এই নয় যে, নিজেদের ঐতিহ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।”
·
“শিল্প
জনগণের জন্য। মেহনতকারী জনগণের ঠিক মাঝখানেই তার শিকড় গভীরভাবে যাওয়া দরকার।
শিল্পের পক্ষে প্রয়োজনীয় হলো তাকে যেন এইসব সাধারণ মানুষ ভালোবাসতে ও বুঝতে পারে।”
·
“শিল্প
যাতে জনগণের নিকটতর হয় এবং জনগণ যাতে নিকটতর হয় শিল্পের— তার জন্য সাধারণ শিক্ষা ও সংস্কৃতির মানকে উন্নততর
করতে হবে।”
·
ব্যক্তিগত সম্পত্তির ভিত্তির উপর যে-সমাজ প্রতিষ্ঠিত, শিল্পী সেখানে শিল্পকাজ
সৃষ্টি করে বাজার ও ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে।”
·
“এটা
হবে স্বাধীন সাহিত্য, কারণ লোভ বা ব্যক্তিগত
সাফল্য নয়— সমাজতন্ত্রের ভাবনা
ও মেহনতী মানুষের প্রতি সহমর্মিতা তার কর্মীদলে ক্রমাগত নতুন শক্তি যোগাবে। তা হবে
স্বাধীন সাহিত্য— কারণ জনকয়েক
পরিতৃপ্ত ‘নায়িকা’ অথবা মেদবহুল, অবক্ষয়-পীড়িত বিতৃষ্ণা-জর্জর ‘উপরতলার হাজার দশেককে’ সে-সাহিত্য সেবা করবে না, তা সেবা করবে লক্ষ কোটি
মেহনতী মানুষের দেশের সুসন্তানদের, তার শক্তি ও তার ভবিষ্যতের।” (স্বাধীন সাহিত্য প্রসঙ্গে)
·
“প্রত্যেক
শিল্পী এবং প্রত্যেকেরই, নিজেদের যারা শিল্পী বলে মনে করে, স্বাধীনভাবে সৃষ্টি
করার এবং সংস্কারমুক্ত হয়ে নিজের আদর্শকে অনুসরণ করার অধিকার আছে।”
·
“এলোমেলো
আলোড়ন, নতুন-নতুন বুলির জন্য অস্থির খোঁজাখুঁজি, শিল্প ও চিন্তা-ভাবনার ঝোঁক
বিশেষের উদ্দেশে আজ জয়ধ্বনি ও কাল তাকেই শূলে চড়াবার আহ্বান— এ সবই অবশ্যম্ভাবী। তবু ... আমরা হাত গুটিয়ে বসে বিশৃংখলাকে
যথেচ্ছ গড়াতে দেবো না। বেশ নির্দিষ্ট একটা পরিকল্পনা অনুসারে আমরা এই প্রক্রিয়াকে
পরিচালনা করবো ও তার ফলাফলকে রূপ দেবো।”
No comments:
Post a Comment