গোর্কী । লেনিন । রবীন্দ্রনাথ । বঙ্কিমচন্দ্র । অন্যান্য ভারতীয় মানীষী । অন্যান্য বিদেশী মনীষী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
·
“যে
কাজ নিজে করতে পারি সে কাজ সমস্তই বাকি ফেলে, অন্যের উপরে অভিযোগ নিয়েই অহরহ
কর্মহীন উত্তেজনার মাত্রা চড়িয়ে দিন কাটানোকে আমি রাষ্ট্রীয় কর্তব্য বলে মনে
করিনে।”
·
“ইহা
বোধকরি কেহই অস্বীকার করিতে পারিবেন না যে, যথেষ্ট টাকা সংগ্রহ করিলে আমাদের দেশে
এমন ঢের কাজ আছে যাহা আমরা নিজেই করিতে পারি। গভর্ণমেন্টকে চেতন করিতে তাঁহারা
পরিশ্রম করিতেছেন, নিজের দেশের লোককে চেতন করাইতে সেই পরিশ্রম করিলে যে বিস্তর
শুভফল হইত।”
·
“শিক্ষার জোরে যেখানে সাধারণ লোকের মধ্যে স্বাধীকারবোধ
স্পষ্ট না হয়েছে সেখানে স্বদেশী বা বিদেশী দুরাকাঙ্খীদের হাতে তাদের নির্যাতন
ঠেকাবে কিসে? সে অবস্থায় তারা ক্ষমতালোলুপের স্বার্থ সাধনের উপকরণ মাত্র হয়ে থাকে।”
·
“বিচারের
বিষয় এই যে, তোমার দেশে শিক্ষা বিস্তারের প্রসার এতটা হয়েছে কি না যাতে দেশের অধিকাংশ লোক স্বাধীকার উপলব্ধি
এবং সেটা যথার্থভাবে দাবি করতে পারে। তা যদি – না হয়ে থাকে তবে সেখানে বিদেশী নিরস্ত হলেও
সর্বসাধারণের যোগে আত্মশাসন ঘটবে না, ঘটবে কয়েকজনের দৌরাত্মে আত্মবিপ্লব। এই
স্বপ্নলোকের ব্যক্তিগত স্বার্থবোধকে সংযত করবার একমাত্র উপায় বহুলোকের সমষ্টিগত
স্বার্থবোধের উদ্বোধন।”
·
“আমাদের
দারিদ্র্য মহামারী সাম্প্রদায়িক বিরোধ আর যন্ত্রশিল্পে পশ্চাৎপরতা, অর্থাৎ যা কিছু
আমাদের জীবনকে বিপর্যস্ত করেছে সে শুধুই শিক্ষার অভাবের ফলে।”
·
“আজ
যে ভাবগুলি গুটি দুই তিন মাত্র লোক জানে, সেই ভাব সাধারণে যাহাতে প্রচার হয়,
তাহারই চেষ্টা করা, এমন করা যাহাতে দেশের গাঁয়ে-গাঁয়ে, পাড়ায় পাড়ায়, নিদেন গুটিকতক
করিয়া শিক্ষিত লোক পাওয়া যায় এবং তাহাদের দ্বারা অশিক্ষিতদের মধ্যেও কতকটা শিক্ষার
প্রভাব ব্যাপ্ত হয়।”
·
“আমি
মনে করি স্বাধীনতার স্ফুলিঙ্গটুকুও, ব্যক্তিত্বের মুক্তির সামান্যত্ম বিকাশও
ভাবিকালের পক্ষে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আজ যদি আমরা অল্পকিছুও করতে পারি, একটি ছোট
ক্ষেত্রে যদি আমাদের প্রচেষ্টা সংহত হয়, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সেই স্ফুলিঙ্গ ভবিষ্যতে
সোশিয়ালিজমে বিকাশ পাবে।”
·
“মহৎ
সাহিত্য প্রবাহিনীতে বাঙ্গালী চিত্তের পঙ্কিলতাও মিশ্রিত হচ্ছে বলে দুঃখ ও লজ্জার
কারণ সত্ত্বেও ভাবনার কারণ অধিক নাই। কারণ সর্বত্রই ভদ্র-সাহিত্য স্বভাবতই সকল
দেশের, সকল কালের, যা-কিছু স্থায়িত্ব-ধর্মী তাই আপনিই বাছাই হয়ে তার মধ্যে থেকে
যায়; আর সমস্তই ক্ষণজীবী, তারা গ্লানিজনক উৎপাত করতে পারে, কিন্তু নিত্যকালের বাসা
বাঁধবার অধিকার তাদের নেই।”
·
“সাহিত্য
এসেছে মানুষের মনকে সকল কালের সকল দেশের মনের সঙ্গে মুখোমুখি করার কাজে।”
·
“যথার্থ
সৌন্দর্য সমাহিত সাধকের কাছেই প্রত্যক্ষ, লোলুপ ভোগীর কাছে নহে।”
·
“...
‘য়ুনাইটেড্ স্টেট্স্’-এ রাষ্ট্রচালনার মধ্যে ধনের শাসনের পদে পদে পরিচয়
পাওয়া যায়। টাকার জোরে সেখানে লোকমত তৈরি হয়, টাকার দৌরাত্মে সেখানে ধনীর
স্বার্থের সর্বপ্রকার প্রতিকূলতা দলিত হয়। একে জনসাধারণের স্বায়ত্বশাসন বলা চলে
না।” (মার্কিন ‘গণতন্ত্র’
প্রসঙ্গে)
No comments:
Post a Comment