সংগৃহীত উদ্ধৃতি : অন্যান্য ভারতীয় মনীষী


গোর্কীলেনিনরবীন্দ্রনাথবঙ্কিমচন্দ্র । অন্যান্য ভারতীয় মানীষী । অন্যান্য বিদেশী মনীষী

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর

·         মানুষের সমস্ত কাজে, কর্মে, শিল্পে, সাহিত্যে, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে কল্পনাটা প্রথম তারপর বাস্তব, এই হলো রচনার ধারা ও রীতি। ... এক যুগের খেয়ালী যা কল্পনা করলে আর এক যুগে সেটা বাস্তব হয়ে উঠলো, এর প্রমাণ মানুষের ইতিহাসে বড় অল্প নেই ...।

·         প্রথম আপন করে নেওয়া ভাব করে, তারপর সেটিকে সকলের আপন করে দেওয়া ভাব করে এই হলো কৌশল আর্টিস্টের।

·         যে সুস্থ সাধনের দ্বারায় বিরাট কল্পনা ... ধারণ করতে সমর্থ হল ... সে হল বীর, সে হল কবি, সে হল ঋষি, আবিষ্কর্তা, গুণী, রচয়িতা।


শিশিরকুমার ভাদুড়ি

·         নাট্যশালা জাতীয় কৃষ্টির ধারক ও বাহক। ... নাট্যমঞ্চে এসে সকল কলা মিলিত হয়। ... সর্বজাতির শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকেরা নাট্যকার। ... নাট্যশালার উৎকর্ষ আমাদের জাতীয় প্রয়োজন।

·         আমাদের দেশের যাত্রা ছিলো আমাদের দেশের মাটির জিনিশ। ... ঠিক যেভাবে যাত্রা ... দেশের মাটিতে শিকড় নিয়েছিলো, আমাদের ... থিয়েটার ঠিক সেইভাবে দেশের মাটির সঙ্গে সম্বন্ধ স্থাপন করতে পেরেছে কিনা সেটা ভেবে দেখার জিনিশ।


সুভাষচন্দ্র বসু

·         আদর্শকে ষোলআনা পেতে হলে নিজেকে ষোলআনা দেওয়া চাই।

·         যে উদাত্ত সঙ্গীতে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতির আত্মবিকাশের সুর সমন্বয় লাভ করবে, সে সঙ্গীতই হবে ... যুগসঙ্গীত।


এম. কে. গান্ধী

·         সকল দেশের সংস্কৃতির হাওয়া যথাসম্ভব মুক্তভাবে আমার গৃহে বহিয়া আসুক, আমি তাহাই চাই।


প্রফুল্লচন্দ্র রায়

·         জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চাই জাতিগঠনের এক প্রধান উপাদান। মানবমন বিজ্ঞান বলে মার্জিত, উন্নত ও শক্তিশালী হয়।


নন্দলাল বসু

·         স্বকীয়তা কাকে বলে? রচনার সময় একটি বিষয়ের অন্তর্নিহিত সত্যকে স্বীয় মননজাত রস দ্বারা বা প্রকৃতিগত কৌশল দ্বারা বিশিষ্ট রূপ দেওয়াকেই স্বকীয়তা বলে। যেখানে বিষয়বস্তুর স্বরূপ বদলে যায় বা বিকৃত হ্য় সেখানে স্বকীয়তার পরিচয় থাকে না বরং অর্বাচীনতার প্রমাণই ফুটে বেরয়।


 রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী

·         ত্যাগাত্মক কর্মের দ্বারাই জীবের সহিত জগতের প্রকৃত সামঞ্জস্য সাধিত হইবে।


সত্যেন্দ্রনাথ বসু

·         মানুষের ভবিষ্যৎ মানুষের হাতে সে যদি অনুসরণ করে ব্যক্তি নির্বিশেষে দয়া ও সহযোগিতার মনোভাব তাহলে যে সংঘাত ও দ্বেষের প্রকোপ আজ দেখা দিয়েছে, তার নিরসন হবে। তাহলেই সর্বজনীন বিশ্বমানবের আবির্ভাব হবে। অন্যথায় যেমন অতিকায় জীবজন্তুরা অতীতেই লোপ পেয়েছে ও সাক্ষ্য দিতে আছে কেবল তাদের প্রস্তরীভূত কঙ্কালের অবশেষ, ভবিষ্যতে মানব সভ্যতারও এমন বিষাদভরা পরিণাম হওয়া বিচিত্র নয়। বিজ্ঞানোচিত মনোভাব, হিংসা দ্বেষের পরিবর্তে সহযোগিতা ও প্রেমের প্রতিষ্ঠা দরকার। বিজ্ঞানের পথেই জয়লাভ হবে।


মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়

·         লেখক কবিও টের পাচ্ছে যে, নিছক হাসি কান্নার আরক আর ভূমার মাধ্যমে প্রেম চলবেনা; মানুষের সঙ্গে বৈজ্ঞানিকের মতো মানুষের রোগ-উপবাস-লড়াই নিয়ে গবেষণা করা ছাড়া উপায় নেই।


প্রমথ চৌধুরী

·         বাইরের ল অ্যান্ড অর্ডারকে আমরা যতই বিদ্রুপ করি, ভাবের ল অ্যান্ড অর্ডারকে না মান্য করে আমরা সাহিত্য তো মাথায় থাক, সংবাদপত্রও লিখতে পারিনে।


বিষ্ণু দে

·         মনের মানচিত্রে সৃষ্টির আবেগ থাকবে কি করে যদি না সে জীবনের দিকে তাকায়?


সুকান্ত ভট্টাচার্য

·         কলম তুমি চেষ্টা করো দাঁড়াতে পারো কিনা


No comments:

Post a Comment